ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধের নাম সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চাচ্ছেন । ইউরিন ইনফেকশন মূলত প্রস্রাবে ইনফেকশন । এটা একটি স্বাস্থ্য সমস্যা বা প্রসবের পথে জীবাণুবি বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়া জনিত কারনে মুলত এই সংক্রামন বা ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিতে পারে । ইউনির ইনফেকশন মুলত মূত্রনালীর সংক্রামন এবং এটা মুত্রশয়ের সংক্রমণ  সহ কিডনির মারাত্বক সংক্রামন দেখা হতে পারে ।

ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধের

তাই আপনারা যদি ইউরিন ইনফেকশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্ট টি শুধু মাত্র আপনার জন্য । আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ইউরিন ইনফেকশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমুহ । ইউরিন ইনফেকশন কেন হয় এই ঔষুধ কি এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপয়ার সহ জাবতীয় সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত সব কিছু শুদু মাত্র আজকের একটা মাত্র পোস্ট থেকে পেয়ে যাবেন । তাই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পোস্ট টা মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধের নাম 

ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধের নাম তা হলো ঃ ইউরিন ইনফেকশন এর ওষুধ নির্ভর করে মূলত আপনার সংক্রমনের ওপর । আপনি ইউরিন ইনফেকশনের ধারা কতটুকু প্রবাহিত হয়েছেন বা আপনার সংক্রমণ কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে সেই মোতাবেক আপনাকে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার ইউরেন ইনফেকশনের ডোজ দিয়ে থাকবে । তবে এর কিছু সাধারণ ট্যাবলেট এর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো যেগুলো ই ইউরিন ইনফেকশন হলে সাধারণত ব্যবহৃত হয়ে থাকে । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধের নাম কি ?

  • সেফিক্সিম বা Cefixime ঃ ডোজ ২০০ মিলি গ্রাম দিনে দুইবার অথবা ৪০০ মিলিগ্রামের দিনে একবার নিয়মিত সাত দিন ব্যবহার করতে হবে । এটা মূলত হালকা থেকে মাঝারি ইনফেকশনের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে এবং এটি শিশুদের জন্য অধিক উপকারে ।
  • নাইট্রোফুরানটোইন বা Nitrofurantoin ঃ ডোজ এটি মূলত 100 মিলিগ্রাম দিনে দুইবার ব্যবহার করতে হবে সকালে এবং রাত্রে । হালকা থেকে যাদের মাঝহারি প্রসাবে ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিবে তাদের জন্য এই ডোজ টি অধিক উপকারি । এবং এছাড়াও গর্ভবতী মেয়েদের জন্য নিরাপদ ।
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন বা Ciprofloxacin ঃ ডোজ ৫০০ মিলিগ্রাম দিনে ২ বার প্রতি ১২ ঘন্টার অন্তর অন্তর তিন থেকে সাত দিন ব্যবহার করতে হবে । যাদের ইউরেল ইনফেকশন অনেক বেশি হয়ে গেছে জটিলতার উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে গেছে তাদের জন্য এই শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক টি ব্যবহার করা প্রয়োজন ।
  • ফসফোমাইসিন বা Fosfomycin ঃ ডোজ তিন গ্রাম পাউডার একবারে এক ডোজ খালি পেটে খেতে হবে । এটি মূলত ইনফেকশন কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে যাদের হালকা সংক্রমণ রয়েছে তাদের জন্য এই ওষুধটি অধিক কার্যকরী ।
ইউরিন ইনফেকশনের ওষুধের নাম গুলো আপনারা আশা করি বুঝতে পেরেছেন । তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে যে কোন ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অতীব জরুরী । কেন নাই এটি একটি মারাত্মক সমস্যা এবং আপনি যদি ভুল-ডোজ গ্রহণ করে থাকেন তাহলে আপনার অনেকগুলো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে । 

ইউরিন ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা

ইউরিন ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে অনেকের বিভিন্ন রকম চিন্তাভাবনা থাকে । ইউরিন ইনফেকশন একটি সাধারণ সমস্যা যেটি ছেলে মেয়ে উভয় এর হয়ে থাকে তবে তুলনা মুলক নারীদের বেশি হয় । তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা কমে যায় । এবং আপনার যদি ইউরিন ইনফেকশন হয়েও থাকে তবে সেটি কমাতে খুব সহায়তা করে । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউরিন ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসমূহ ।

  • পানি পান বাড়ানোঃ প্রচুর পরিমাণে যদি আপনি পানি পান করেন তাহলে ইউরিন এর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যায় তাই প্রত্যেকদিন অন্তত 8 থেকে 10 লিটার পানি পান করা উচিত ।
  • ক্র্যানবেরি জুসঃ একটা গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ক্র্যানবেরি জুস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করে থাকে । এটি কোন ঔষধ নয় তবে এটি ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে থাকে ।
  • খালি পেটে মধু ও তুলসী পাতা খাওয়া ঃ আপনি যদি খালি পেটে দিনে দুইবার তিন চারটা তুলসী পাতা অথবা এক চা চামচ কাঁচা মধু তুলসী পাতার সাথে মিশিয়ে খান তাহলে এটি ইউরিন ইনফেকশন হওয়া থেকে মুক্তি দিতে পারে । কারণ তুলসী পাতা এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ ।
  • আলকালাইন খাবার খানঃ লেবু পানি অথবা নারিকেল পানি বা বার্লি পানি ইউরিন কে ক্ষারীয় করে তুলে যার ফলে ব্যাকটেরিয়া বংশবৃদ্ধি করতে পারে না । এবং ইউরিন ইনফেকশন কমাতে সহায়তা করে ।
  • এছাড়াও ব্যথা কমাতে গরম সেঁক দই বা প্রোটিন খাবার এগুলা খাওয়ার ফলে ইউরিন ইনফেকশন থেকে আমাদের প্রস্তাবের রাস্তা পরিষ্কার করে ।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ইউরিন ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা কোন গুলো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসমূহ । আপনি যদি উপরের প্রত্যেকটা নিয়ম ভালো করে মেনে চলতে পারেন তাহলে আশা করি আপনার ইউরিন ইনফেকশন এর হাত থেকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবেন । ইউরিন ইনফেকশন যদি অধিক হয় তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন ধন্যবাদ ।

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না সেই সম্পর্কে অনেকের বিস্তারিত তেমন সূক্ষ্ম ধরনের নাই । আপনি যদি এই পোস্টটি একদম মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না সেই সব সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যসমূহ এই একটি মাত্র পোস্টের মাধ্যমে জেনে যাবেন ।  তাহলে আর দেরি কেন তাহলে চলুন জেনে নি প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না সেই গুলোর নামঃ

  • মসলা ও ঝাল যুক্ত খাবার ঃ ইউরিন ইনফেকশন হলে আপনি মসলা এবং বেশি ঝাল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন কারণ এইগুলা ইউরিনের জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দিতে পারে ।
  • ক্যাফেইন যুক্ত পানিঃ যুক্ত পানি হল বিভিন্ন এনার্জি ড্রিংস চা কফি কোকোকোলা সহ ইত্যাদি পানীয় । ক্যাফিন যুক্ত খাবার হল মুত্রবদ্ধক যেগুলোর ডিহাইডেশন ঘটিয়ে ইউরিন ইনফেকশন আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে ।
  • চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার ঃ আপনি যদি অতিরিক্ত মিষ্টি জাত খাবার খান তাহলে আপনার শরীরে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে যা আপনার ইউরিন ইনফেকশন সংক্রমণ আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে ।
  • আম্লিক এবং অ্যালকোহল ঃ অম্লিক বা ফলের রস যেমন কমলা টমেটো লেবুর রস ইত্যাদি সমূহ এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এছাড়াও অ্যালকোহল ডি হাইড্রেশন ঘটায় জা প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে তুলে ।
প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না আশা করি সে সম্পর্কে আপনি এখন বিস্তারিত জেনে ফেলেছেন । আপনার যদি ইউরিন ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে উপরের খাবারগুলো অবশ্যই আপনি এড়িয়ে চলবেন । কেননা আপনি যদি সঠিকভাবে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে পারেন তাহলে ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম ।

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে বাচ্চার কি কোন ক্ষতি হয়

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে বাচ্চার কি কোন ক্ষতি হয় এই সম্পর্কে অনেক গর্ভধারিনী মায়ের বিভিন্ন রকম কল্পনা থেকে থাকে । গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে বাচ্চার কি কোন ক্ষতি হয় বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে বাচ্চার কি কোন ক্ষতি হয় তা হলো ঃ ইনফেকশন হলে বাচ্চা ও মা উভয়ের জন্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে । কেননা গর্ভাবস্থায় শরীলে হরমোন পরিবর্তনের কারনে মুত্রনালী কিছুটা ঢিলা হয়ে যায় এবং খুব সহজে ব্যাকটিয়া মুত্রথলিতে ঢুকে গিয়ে সংক্রামন বৃদ্ধি করে যা মা ও বাচ্চা উভর এর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে । যেহেতু ইনফেকশন অনেক সময় নীরব থেকেও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে তাই সতর্ক থাকা খুবই প্রয়োজন । 

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো হলো ঃ
  • ঘনঘন প্রস্রাব কিন্তু অল্প করে হয়ে থাকে
  • প্রসবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হয়
  • তলপেটে চাপ বা অস্বস্তি করে
  • প্রসাবের অনেক বেশি দুঘন্ধ হতে পারে
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ কোন গুলো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসমূহ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url